এক প্রান্ত দিতে উইকেট পরলেও ইংলিশদের জয়ের পথে রাখছিলেন অধিনায়ক জস বাটলার। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছোট হয়ে আসছিল ম্যাচ। তবে বেশিদূর ইংলিশদের নিয়ে যেতে পারেননি বাটলার। হারিস রউফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।
ফিরার আগে ১৭ বলে ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫৭ রান। এই মুহূর্তে ক্রিজে আছেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকস।
এর আগে স্কোরবোর্ডে ভালো রান জমা করতে পারেনি পাকিস্তান। কাজেই যা করার করতে বোলারদেরই। জানা আছে পাকিস্তানি বোলারদের। সে কারণে শুরু থেকেই লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বোলিংয়ে মনোযোগ দেয় পাকিস্তান। সাফল্যও মিলে তাতে। আগের দিনের ম্যাচ জয়ের নায়ক অ্যালেক্স হেলস এদিন ফিরেছেন দ্রুতই। ২ বলে ১ রান করে শাহিন শা আফ্রিদির বলে স্ট্যাম ভাঙে তার। এরপর ফিল সল্ট ফিরে যান ১০ রান করে।
এর আগে বৃষ্টির শঙ্কা দূরে ঠেলে মেলবোর্নে এদিন নির্ধারিত সময়ের মাঠে গড়িয়েছে বল। যেখানে টসে হরে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংলিশরা। এদিন শুরুতে দেখেশুনে খেললেও মাঝে দ্রুত রান তুলছিল পাকিস্তানি ব্যাটাররা। তবে উইকেটে সুবিধা করতে না পারায় শেষটা ভালো হয়নি। আর তাতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৭ রান। অর্থাৎ ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে ইংলিশরা।
মেলবোর্নে এদিন পাকিস্তানকে বেশ সাবধানী শুরু এনেদেন বাবর-রিজওয়ান। তবে রান না আশায় ও উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পরে পাকিস্তান। চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাবর। তবে পেরে ওঠেননি। আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে বোকাবনে গেছেন তিনি।
২৮ বল থেকে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন বাবর। মাঠে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইফতেখারও। ৬ বল থেকে কোনো রান না করেই ফিরেন তিনি। এরপর শাদাব খানকে নিয়ে পাকিস্তানে এগিয়ে নিয়ে যান মাসুদ। মাসুদের আগ্রাসী ব্যাট স্বপ্ন দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে থামিয়েছেন স্যাম কুরান। ২৮ বল থেকে ১ ছয় ও ২ চারে ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর তাকে অনুসরণ করেন শাদাব খান। ১৪ বল থেকে ২০ রান করেই ফিরেছেন তিনি। তার বিদায়ে বড় সংগ্রহ করার পথে পা হড়কায় পাকিস্তান। পরে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে টেলেন্ডারদেরও। তবে তাতে বেশিদূর এগোনো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের ১৩৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে পাকিস্তান।